আলিম এ্যাসাইনমেন্ট-২০২১ উত্তর/সমাধান হাদীস শরীফ এ্যাসাইনমেন্ট-২
মানবজীবন ও জ্ঞান অর্জন: প্রসঙ্গ ইসলাম
শিরোনামঃ ইলম পর্ব
হাদিসের ব্যাখ্যা মূলক অনুবাদঃ
- আল্লাহ তাআলা আলেমদের উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এলেম উঠিয়ে নিবেন। এমনকি তিনি দুনিয়ার আর কোন আলেমকে অবশিষ্ট রাখবেন না। তখন লোকজন মূর্খ লোকদেরকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। অতঃপর তাদের নিকট বিভিন্ন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা হলে তারা ইলেম ব্যতীত প্রদান করবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে( বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
- আবদুল্লাহ ইবনে উমর আনুমানিক একজন সাহাবী এবং দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব এর ছেলে তিনি হাদীস ও ফিকহের একজন বড় পন্ডিত ছিলেন।
- প্রথম ফিতনার সময় তিনি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিলেন ৬১৪ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব অল্প বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তবে 15 বছর বয়স পর্যন্ত তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি পাননি। খন্দকের যুদ্ধে আবু সুফিয়ানের বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অংশগ্রহণ করেছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর ছেলেদের মধ্যে ছিলেন আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ। তার এক বোন হাফসা বিনতে ওমর ছিলেন মোহাম্মদ এর স্ত্রী।তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৬৯৩ খ্রিস্টাব্দ
আলিম এ্যাসাইনমেন্ট-২০২১ উত্তর/সমাধান হাদীস শরীফ এ্যাসাইনমেন্ট-২
জ্ঞান এর পরিচয় প্রকারঃ
ইলম এর পরিচয়ঃ
আরবি ভাষা এলাম শব্দটির ধারা জ্ঞান অনুধাবন উপলব্ধি করাকে বুঝানো হয়। বাংলা ভাষা কখনো কখনো এর শব্দটি দ্বারা একে একে বুঝানো হয় যার অর্থ হলো জ্ঞান বুদ্ধিমত্তা বিদ্যা তবে ইসলামী পরিভাষা শব্দ দ্বারা পাশে শুধুমাত্র ইসলামী জ্ঞান কে বোঝানো হয়। বা শারীরিক সম্পর্ক তথ্য কে বোঝায় তবে ইসলামি দৃষ্টিতে একটি সার্থক শব্দ বা জ্ঞান উপলব্ধি করার নির্দেশ করে থাকে
ইলমের প্রকারঃ
ইলম প্রধানত দুই প্রকারঃ
১) দুনিয়াবী ইলম। দুনিয়াবী বাংলা ইংরেজি অংক রসায়ন পদার্থ ইত্যাদি। এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা জায়েয।
২) দ্বীনি ইলম। আর দ্বীনি ইলম কোরআন হাদিস ফিকাহ ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা ওয়াজিব।
গ)জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও ফজিলতঃ
মহান আল্লাহ তা’আলা মানব জাতিকে জ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে মানুষ যেমন তার প্রয়োজন পূরণে উত্তম পন্থা আবিস্কার করতে পারে। তেমনি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি ন্যায়-অন্যায়বোধ এবং আখিরাতে সফলতা ব্যর্থতা জ্ঞান অর্জন করতে পারে। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর যোগ্যতা নেই। শিক্ষার মাধ্যমে অজানাকে জানা এবং অজানা বিষয় কাজে লাগিয়ে অজানা সন্তান করার যোগ্যতা একমাত্র মানুষেরই আছে। ইসলামে ইসলামের শিক্ষা গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপর নাযিল হয়। তোমার পালনকর্তা নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন( সূরা আলাক ১)
হালাল পন্থায় জীবিকা উপার্জনঃ
মাতাপিতা ও আত্মীয়-স্বজনের খেদমত পরিবার-পরিজনের হক আদায় সমাজসেবা ইত্যাদি উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করলে এতে উৎসব রয়েছে হাদীস শরীফে এসেছে হালাল রিজিক সন্ধানে সব মুসলমানের উপর ফরজ। (আল মুজামুল আওসাদ ) ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদীস বর্ণিত হয়েছে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দিবেন। ( সূরা মুজাদালা 11)
দ্বীনি ইলম
দ্বীনি ইলমের ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এলেম অর্জন করা। যে ব্যক্তি দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমএলএম শিখলো যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয় কেয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না (আবু দাউদ 3664)
সারকথা
ইসলামী দ্বীনি শিক্ষার যেমন গুরুত্ব রয়েছে তেমনি রয়েছে জাগতিক শিক্ষার গুরুত্ব পার্থিব প্রয়োজন জীবনের সব কাজ ইসলামের বিধান মোতাবেক করার জন্য দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই ।
জ্ঞান অর্জন না করে ফতোয়া দানের পরিণতিঃ
ফতুয়া ফাতাওয়া আরাবী বহুবচন ফাতাওয়া আরাবী হল বিধান ও সমাধান কোন ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলিল এর আলোকে মুফতি বা ইসলামে আইন বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন। কোন ব্যক্তি সরাসরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে উত্তর সমস্যা সমাধানের বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতির কাছে এ বিষয়ে সমাধান চান। ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা বলে।
আরবিক এ বলে মুফতি তখন ইসলামী শরীয়াতের আলোকে সমস্যাটির সমাধান জানিয়ে দেন। এ সমাধান প্রদান করা ইসলামের পরিভাষায় ইফতা বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটি ফতুয়া বলে।
কুরআনের ফতুয়া শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন পরামর্শ ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে, বিলকিস বলল হে পরিষদবর্গ আমাকে আমার কাজে পরামর্শ দাও। তোমাদের উপস্থিতি বেতির কে আমি কোন কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিব না।(নমল 32) ব্যাখ্যা প্রদানের বলা হয়েছে,
আপনি আমাদেরকে এই স্বপ্ন সম্পর্কে পথনির্দেশ প্রদান করুন, যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে গিয়ে তাদের অবগত করতে পারি।( ইউসুফ 46)
শরীয়তের ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজের সময় ঠিক করার মাধ্যম। ( বাকারা-189)
তারপর কুরআনে বলা হয়েছে তারা আপনাকে সম্পর্কদ্ধি করেছে।
আল্লাহ আরও কালা কালালা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছে, আল্লাহ আরো বলেনঃ, তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদের অনুমতি দেন( নিসা 127)
মানুষ আপনার নিকট দুয়া জানতে চায় অতএব আপনি বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদিগকে কালালাহ এর মিরাজ সংক্রান্তঃ সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন, (নিসা 176)
বহু হাদিসে ফতুয়ার ব্যবহার হয়েছে,
সহীহ মুসলিমের চারবার আহমদ 12 বার নাসাই এ দুবার, আবু দাউদ তিনবার, ইবনে মাজাহ হদে আছে 2 বার দারিমীতে আছে সাতবার, এভাবে করে বহুবার ফতুয়া শব্দটি ব্যবহার হয়েছে।
সুানে দারিমীর বলা হয়েছে। যে ফতোয়া প্রদান দুঃসাহস দেখান সে যেন জাহান্নামে প্রবেশর দুঃসাহস দেখাচ্ছেন।
রাসুল সাল্লালাহ সালাম আরো বললেন যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকা সত্বেও সেই বিষয়ের সমাধান দিল তার নাগ তার উপর বর্তাবো।
আলিম এ্যাসাইনমেন্ট-২০২১ উত্তর/সমাধান হাদীস শরীফ এ্যাসাইনমেন্ট-২
সালামের অধ্যায়
সালাম এর পরিচিতিঃ
- উপস্থাপনাঃ ইসলামে সালামের প্রচলন একটি যুগান্তকারী ও সর্বজনীন বিষয় ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বোধ বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সালাম মুসলমানগন সালামের মাধ্যমে পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান করে থাকেন ইসলাম মানবতার শান্তি নিমিত্ত যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে নিম্নে সালামের পরিচয় তুলে ধরা হলো
এর আভিধানিক অর্থ
- سلام শব্দটি باب تفعيل
- الايمان তথা নিরাপত্তা প্রদান করা
- التحيه স্বাগতম জানানো
- দোষ ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকা
- শান্তি ও সুখ
- আনুগত্য
অভিবাদনঃ
- سلام পারিভাষিক সংজ্ঞা
- قول الرجل المؤمن السلام عليكم عند ما
অর্থাৎ: মুসলমানদের পারস্পরিক সাক্ষাতের সময় দোয়া কামনা ও কুশল বিনিময়কে সালাম বলে
السلام عليكمএর ভাবার্থ তো হলো
- ক আল্লাহ তাআলা তোমার অবস্থা সম্পর্কে অবগত সুতরাং তুমি তার ব্যাপারে অমনোযোগী হয়ো না
- খ তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক আমার পক্ষ থেকে তোমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হলে তুমিও আমাকে নিরাপত্তা দান কর।
- গ আল্লাহর সালাম গুনটি তথা তার নিরাপত্তা তোমার জন্য অবধারিত
- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ হতে বর্ণিত
السلام اسم من اسماء الله
- মোট কথা শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ-এই এর গুরুত্ব প্রমাণের যথেষ্ট তাই সমাজে সালামের প্রচলন বেশি বেশি করা আমাদের কর্তব্য।
- সালামের মাসনুন শব্দ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
- সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে
- সালামের জবাব প্রদানের ক্ষেত্রে
- সালাম প্রদানের শব্দাবলী
- আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ
- আপনাদের উপর শান্তি আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক
- সালামের জবাব প্রদান এর নিয়মাবলী শর্তাবলী
- আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
- আপনাদের উপর ও শান্তি আল্লাহ রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক
- আপনাদের উপর শান্তি আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা বর্ষিত হোক
সালামের বিধান সমূহঃ
- সালাম প্রদান এর হুকুমঃ সালাম প্রদানের হুকুম সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের কয়েকটি অভিমত রয়েছে। নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- ফকিহগণে সর্বসম্মত অভিমত হলো নামাজ কোরআন তেলাওয়াত তানহার মলমূত্র ত্যাগ জিকিরে মশগুল ব্যক্তি কে সালাম দেওয়া মাকরুহু।
- জমহুরের এর অভিমত- জামাই ওলামায়ে কেরামের মতে স্বাভাবিক অবস্থায় এক মুসলমান অন্য মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে সালাম দেওয়া সুন্নত। কেননা সালাম ইসলামী সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন।
- সালাম সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের দলিল হল
- ফকিগণের অভিমতঃ