কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের নির্দেশনা
উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে কোভিড ১৯ পরিস্থিতির অতিমারির কারণে ১৮-০৩-২০২১ খ্রিঃ থেকে দেশের সকল মাদ্রাসার শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দেশের সকল মাদ্রাসা সমূহ তাদের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করার জন্য সূত্র স্মারক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমানে কোভিদ নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করা মাদ্রাসা খোলা সরাসরি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নিমিত্ত সংযুক্ত গাইডলাইন এর উদ্দেশ্য ছাড়া তার মাদ্রাসায় কার্যক্রমসমূহ ০৯-০৯-২০২১ তারিখের মধ্যে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এর সর্বশেষ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের নির্দেশনা dme.gov.bd
সারক নাম্বার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এর স্মারক নং৫৭.২৫.০০০০০.০০০১.৫০.০০১.১৭-৫
যে সকল কার্যক্রম সমূহ পালন করতে হবে সে বিষয়ে নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
১) মাদ্রাসার প্রবেশপথসহ ে অন্যান্য স্থানে কোভিড-১৯ অতিমারির সম্পর্কিত সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য যে সকল করণীয় বিষয় সমূহ অন্য কোন উপায় প্রদর্শন এর ব্যবস্থা করা।
২) মাদ্রাসার প্রবেশ পথে সকল শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়মিত তাপমাত্রা মাপা ও তা পর্যবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।
৩) শিক্ষার্থীদের জন্য মাদ্রাসা সবগুলো প্রবেশপথ ব্যবহার করা ।যদি কেবল একটি প্রবেশ পথ থাকে সে ক্ষেত্রে একাধিক প্রবেশপথে ব্যবস্থা করা। dme.gov.bd
৪) মাদ্রাসা খোলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের আনন্দ ভবন পরিবেশে শ্রেণী কার্যক্রম স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা করা।
৫) মাদ্রাসা খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসা অবস্থান করবে এবং বাসা থেকে যাওয়া আসা করবে সে বিষয়ে তাদেরকে শিক্ষণীয় উদ্বুদ্ধকরণ ব্রিফিং প্রদান করা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের নির্দেশনা
৬) মাদ্রাসার একটি কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা আইসোলেশন কক্ষ হিসেবে প্রস্তুত করা।
৭) মাদ্রাসার সকল ভবনের পক্ষ, বারান্দা, সিরি, যথাযথ পরিষ্কার করা।
৮) মাদ্রাসার সকল সুনিশ্চিতভাবে নিয়মিতভাবে সঠিক ভাবে পরিষ্কার রাখা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা।
৯) মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক প্রবেশের সময় সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন করা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিজ দায়িত্বে মাস্ক সরবরাহ করা।
১০) মাদ্রাসার সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সঠিকভাবে মাক্স সম্ভব হলে কাপড়ের মাপ পরিধান করার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে সরবরাহ করুন।
১১) মাদ্রাসার বিভিন্ন স্থানে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দাঁড়া হাত দেওয়ার এমন ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢুকার আগে সবাই সাবান দিয়ে হাত ধুতে পারেন।
১২) শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা। দূরত্বের সাথে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা।
১৩) মাদ্রাসা খেলার মাঠ,ড্রেন, বাগান ও জোগাড় যথাযথভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কোথাও পানি জমে না থাকায় তা নিশ্চিত করা।
১৪) মাদ্রাসার সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মাদ্রাসাসমূহের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সংজ্ঞা নিরূপণ করা।
১৫) সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সময়কাল লাশ সংখ্যা নির্ধারণ করা।
১৬) ক্লাস চলাকালীন মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক ও অন্যান্যদের অতিরিক্ত সমাগম না করা।
১৭) কোভিড-১৯ অতি মারিজনিত সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষক ও কমিটির সদস্য বৃন্দের সমন্বয় মনিটরিং টিম গঠন করা এবং নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণ করা।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাদ্রাসায় শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণের নির্দেশনা
১৮) প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দগ্রম শিক্ষণ শিক্ষণের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত করা।
১৯) মাদ্রাসার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, বৈদ্যুতিক মেরামত, এবং সংযোগ জড়িত মেরামত সম্পন্ন করা।
২০) মাদ্রাসার গভর্নিং বডি/ ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে সভা করা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২১) প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ দান গ্রহণ করা।
কোভিড ১৯ গাইড লাইন ৩৮ পাতা ডাউনলোড পিডিএফ এখানেই